আয়াতুল কুরসি - আয়াতুল কুরসি বাংলা উচ্চারণ

এসএসসি রেজাল্ট চেক ২০২৪

বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আমরা আয়াতুল কুরসি বা Ayatul Kursi Bangla পড়ে থাকি। এর ফলে আল্লাহর রহমতে আমাদের সকল ধরনের বিপদ কেটে যায়। বিপদ ছাড়াও এই আয়াতুল কুরসি পড়লে আমাদের শরীরের মধ্যে থাকা খারাপ জ্বীন বা খারাপ কোন কিছু চলে যায়। আমরা যারা মুসলিম আছি তারা আয়াতুল কুরসি প্রতিদিন পড়ার চেষ্টা করি। কিন্তু আমাদের মুখস্থ না থাকার কারণে আমরা প্রতিদিন পড়তে পারি না। আয়াতুল কুরসি বা Ayatul Kursi Bangla এর অনেক ফজিলত রয়েছে যা এই পোস্টের মাধ্যমে তুলে ধরা হলো। 

Ayatul Kursi Bangla - আয়াতুল কুরসি, আয়াতুল কুরসির বাংলা উচ্চারন, Ayatul Kursi Bangla, আয়াতুল কুরসি পড়ার নিয়ম, আয়াতুল কুরসি পড়ার ফজিলত,

আমাদের আর্টিকেলের আজকের বিষয় Ayatul Kursi Bangla-আয়াতুল কুরসি । উচ্চারণ ,অর্থ , অনুবাদ ও ফজিলত। এই সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলে বিস্তারির ভাবে বলা হবে। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের আর্টিকেল পড়ুন তাহলে বুঝতে পারবেন। 

আয়াতুল কুরসি-উচ্চারণ,অর্থ ,অনুবাদ

আমাদের আর্টিকেলের এই অংশে কথা বলবো আয়াতুল কুরসি-উচ্চারণ,অর্থ ,অনুবাদ। প্রথমে আওম্রা দেখে নিবো আয়াতুল কুরসির আরবি অর্থঃ- 

ٱللَّهُ لَاۤ إِلَـٰهَ إِلَّا هُوَ ٱلۡحَیُّ ٱلۡقَیُّومُۚ لَا تَأۡخُذُهُۥ سِنَةࣱ وَلَا نَوۡمࣱۚ لَّهُۥ مَا فِی ٱلسَّمَـٰوَ ٰ⁠تِ وَمَا فِی ٱلۡأَرۡضِۗ مَن ذَا ٱلَّذِی یَشۡفَعُ عِندَهُۥۤ إِلَّا بِإِذۡنِهِۦۚ یَعۡلَمُ مَا بَیۡنَ أَیۡدِیهِمۡ وَمَا خَلۡفَهُمۡۖ وَلَا یُحِیطُونَ بِشَیۡءࣲ مِّنۡ عِلۡمِهِۦۤ إِلَّا بِمَا شَاۤءَۚ وَسِعَ كُرۡسِیُّهُ ٱلسَّمَـٰوَ ٰ⁠تِ وَٱلۡأَرۡضَۖ وَلَا یَـُٔودُهُۥ حِفۡظُهُمَاۚ وَهُوَ ٱلۡعَلِیُّ ٱلۡعَظِیمُ ۝٢٥٥

আয়াতুল কুরসির বাংলা উচ্চারন - Ayatul Kursi Bangla

"আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়া আল হাইয়্যুল কাইয়্যুম লা-তা খুযুহু সিনাতুও ওয়ালা নাওম লাহু মা ফিস সামা ওয়াতি ওয়ামা ফিল আরদি মান যাল্লাযী ইয়াশফাউ ইন্দাহু ইল্লা বিইযনিহী ইয়া লামু মা বাইনা আইদিহীম ওয়ামা খলফাহুম ওয়ালা ইউহিতুনা বিশাইইম মিন ইলমিহী ইল্লা বিমা শাহ ওয়াসি আ কুরসিয়্যুহুস সামা ওয়াতি ওয়াল আরদা ওয়ালা ইয়াউদুহু হিফজুহুমা ওয়া হুয়াল আলিয়্যুল আজীম"

আয়াতুল কুরসির বাংলা অর্থ - Ayatul Kursi Bangla

“আল্লাহ, তিনি ছাড়া কোনো উপাস্য নেই, [তিনি] চিরঞ্জীব, চিরস্থায়ী/সবকিছুর ধারক। তাঁকে তন্দ্রাও স্পর্শ করতে পারে না ও নিদ্রাও নয়। আকাশ ও পৃথিবীতে যা কিছু রয়েছে, সবকিছু তাঁরই। কে [আছে এমন] যে তাঁর কাছে তাঁর অনুমতি ছাড়া সুপারিশ করবে? তাঁদের সামনে কী আছে ও পিছনে কী আছে তিনি [তা] জানেন এবং তিনি যা ইচ্ছা করেন তা ছাড়া তাঁরা তাঁর (আল্লাহর) জ্ঞানের কিছুই আয়ত্ব করতে পারে না। তাঁর কুরসি আকাশ ও পৃথিবীকে পরিবেষ্টিত করেছে এবং সেগুলো সংরক্ষণ করতে তাঁর কষ্ট হয় না। এবং তিনিই সর্বোচ্চ ও সর্বমহান।” 

আয়াতুল কুরসি পড়ার নিয়ম

আয়াতুল কুরসি পড়ার নির্দিষ্ট কোন নিয়ম নাই। আয়াতুল কুরসি যেকোন সময় পড়া যাবে। এটি পড়ার জন্য আপনাকে কোন নির্দিষ্ট টাইমের প্রয়োজন নাই। আয়াতুল কুরসি অযু ছাড়াও পড়া যাবে তবে অযু করে পড়া উত্তম। যে যে সময় আয়াতুল কুরসি পড়া উত্তমঃ-

  • নামাজের শেষ করে বসে আয়াতুল কুরসি পড়বেন
  • রাতে ঘুমানোর আগে অযু করে তারপর পড়বেন

আয়াতুল কুরসি পড়ার ফজিলত

ফজিলত-১ঃ- আমাদের প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) বলেছেনঃ- যে ব্যাক্তি প্রত্যেকদিন ফজরের নামাজের পর যে আয়াতুল কুরসি পড়বে বা পাঠ করবে তাহলে তার মৃত্যুর সময় সহজভাবে জান কবজ করা হবে। 

ফজিলত-২ঃ- অন্য একটি হাদিসে আসছে যে ব্যাক্তি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পড়বে তাহলে জান্নাতে যেতে মৃত্যু ব্যাতিত আর কোন বাধা থাকবে না। অর্থাৎ তার মৃত্যু হওয়ার সাথে সাথে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে ইনশা-আল্লাহ। 

ফজিলত-৩ঃ- অন্য আর এক হাদিসে উল্ল্যেখ আছে, যে ব্যক্তি রাতে ঘুমানোর আগে আয়াতুল কুরসি পাঠ করবে, আল্লাহ তায়ালা তার মাথার কাছে একজন ফেরেশতা নিযুক্ত করে দিবেন এবং সে ফেরেশতাটি  সারা রাত তাকে পাহারা দিবে এবং দুষ্ট জীন এবং শয়তানের কাছ থেকে রক্ষা করবে।

ফজিলত-৪ঃ- আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) বলেছেনঃ- যে ব্যক্তি আয়াতুল কুরসি পড়ে করে তার ধন-সম্পতির মধ্যে ফুঁ দেয় তাহলে তার সে ধন-সম্পদ চোরের হাত থেকে রক্ষা পাবে। তার সম্পত্তি গুলো চোরে চুরু করতে পারবে না।

ফজিলত-৫ঃ- যারা প্রতিদিন আয়াতুল কুরসি পাঠ করবে তাহলে আল্লাহ তায়ালা তাদের জন্য জান্নাতের আটটি দরজা খুলে দিবেন। সে ব্যাক্তি যেকোন দরজা দিয়ে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে।

আয়াতুল কুরসি বাংলা উচ্চারণ ছবি

আয়াতুল কুরসি-বাংলা উচ্চারণ ছবি

Ayatul Kursi Bangla-আয়াতুল কুরসি

আয়াতুল করসি সম্পর্কীত কিছু প্রশঃ-

ঘুমানোর আগে আয়াতুল কুরসি পড়ার ফজিলত

যে ব্যক্তি রাতে ঘুমানোর আগে আয়াতুল কুরসি পাঠ করবে, আল্লাহ তায়ালা তার মাথার কাছে একজন ফেরেশতা নিযুক্ত করে দিবেন এবং সে ফেরেশতাটি  সারা রাত তাকে পাহারা দিবে এবং দুষ্ট জীন এবং শয়তানের কাছ থেকে রক্ষা করবে।

আয়াতুল কুরসি কোন সূরার আয়াত

সূরা আল-বাকারার ২৫৫ তম আয়াত (২:২৫৫)

স্বপ্নে আয়াতুল কুরসি পড়লে কি হয়

যারা প্রতিদিন আয়াতুল কুরসি পড়েন তারা যদি স্বপ্নে আয়াতুল কুরসি পড়তে দেখেন তাহলে আপনার বেশি বেশি করে আয়াতুল কুরসি পড়তে পারেন। 

আর যারা পড়েন না কিন্তু স্বপ্নে আয়াতুল কুরসি পড়তে দেখেন তাহলে আপনাকে আয়াতুল কুরসি পড়ার আমল করতে হবে।

হায়েজ অবস্থায় আয়াতুল কুরসি পাঠ করা যাবে  কি

হায়েজ অবস্থায় মহিলারা কোরআন-হাদীসে বর্ণিত জিকির করতে পারবেন। এই জিকিরের নিয়তে জীন এবং ক্ষতিকর জিনিসের আক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য আয়াতুল কুরসি পাঠ করা যাবে।

আবারো বলছি জিকিরের উদ্দেশ্যে পাঠ করা যাবে কিন্তু তেলয়াত এর উদ্দেশ্যে পড়া যাবে না।

ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পড়ার ফজিলত

আমাদের প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) বলেছেনঃ- যে ব্যাক্তি প্রত্যেকদিন ফজরের নামাজের পর যে আয়াতুল কুরসি পড়বে বা পাঠ করবে তাহলে তার মৃত্যুর সময় সহজভাবে জান কবজ করা হবে।

আমাদের আর্টিকেলের শেষ কথা

আমাদের আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি Ayatul Kursi Bangla-আয়াতুল কুরসি । উচ্চারণ ,অর্থ , অনুবাদ ও ফজিলত সম্পর্কে। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন আয়াতুল কুরসি পাঠ করার ফজিলত। আমাদের আজকের আর্টিকেলে আপনাদের মাঝে আরো শেয়ার করেছি আয়াতুল কুরসির আরবি অর্থ, আয়াতুল কুরসির বাংলা উচ্চারণ এবং আয়াতুল কুরসির বাংলা অর্থ। আপনাদের ইসলামিক পোস্ট নিয়ে কোন মতামত থাকলে আমাদের জানাবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

রায়হান আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url